🌀 ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আপডেট

🌀 ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আপডেট—১।
▇ ১৮ মে, ২০২০ খ্রীষ্টাব্দ, সোমবার।
⦁ পূর্বাভাস পেজে প্রকাশের সময় ১০:২১ পূর্বাহ্নে(AM)
♦︎ বেসরকারী গবেষণাকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত তথ্য(BWOT)।
-------------------------------
⓿ গতকাল দিনে বাংলাদেশের মধ্যে তেমন কোন
বৃষ্টির রিপোর্ট নেই, রাতে উত্তরবঙ্গের বিভাগীয় বেশ
কয়েকটি জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে।
দেশের মধ্যে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম প্রায় একই রকম
থাকবে তবে কিছু কিছু এলাকায় গরম কিছুটা কমবে।

🌀 গতকাল সকাল নয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায়
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান‘ ক্রমাগত শক্তি বৃদ্ধি করে
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
অথবা বলা যায় এটি বর্তমানে ক্যাটাগরি ফোর
পর্যায়ের শক্তি অর্জন করেছে।

১ মিনিট স্থিতিকাল হিসাবে বর্তমানে ঝড়ের গতিবেগ
প্রায় ২৪৬ কি:মি:/ঘন্টা যা দমকা ও ঝড়োহওয়ার
ঝাপ্টা হিসাবে প্রায় ৩১০ কি:মি:/ঘন্টা পর্যন্ত
বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে এক মিনিটের হিসাব করলে
গতিবেগ বেশি পাওয়া যায়।

ঝড়টির বর্তমান অবস্থান থেকে আরো কিছুদূর
উত্তরমুখী থেকে পরবর্তীতে উত্তর-পূর্ব দিকে
ধাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ২১ তারিখ নাগাদ উপকূলে
আঘাত হানতে পারে।

এটি ক্যাটাগরি ৫ বা সুপার সাইক্লোনের শক্তি অর্জন
করতে পারে অর্থাৎ অনেকটাই ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর‘ এর
সাথে তুলনাযোগ্য।
ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাতের সময় শক্তি কিছুটা কম
থাকতে পারে তবে খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই।
প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলে আছড়ে
পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিভিন্ন পেজ, সাইট এবং
অ্যাপসের ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য আঘাতের স্থান দেখে
অনেকে ভাবতে বসেছেন চট্রগ্রাম-কক্সবাজার
এলাকায় কিছু ঝড়-বৃষ্টি ব্যতীত তেমন কোন প্রভাব
পড়বে না।
বাস্তবে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি এবং বিস্তার অনেক
বেশি হওয়ায় এটি পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে
বাংলাদেশের প্রত্যেক উপকূলে সমান
ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

ঝড়টি খুলনা বিভাগের উপকূলবর্তী পূর্ব অংশ থেকে
শুরু করে বরিশাল বিভাগের উপকূলের পূর্ব অংশ
পর্যন্ত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ(আঘাতের স্থান)।
ঝড়টি যেখানেই আঘাত হানুক, বাংলাদেশ জন্য
যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিধ্বংসী।

ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে অবশ্যই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে
এবং প্রয়োজনিয় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

সরকারি ভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা
সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৪(চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি
সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৯:০০(AM) টার দিকে
ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র থেকে নিকটতম ভারতীয়
উপকূলের দূরত্ব: ৫৭৩ কিঃমিঃ।
বাংলাদেশের কুয়াকাটা থেকে দুরত্ব: ১০৩১ কিঃমিঃ।
অর্থাৎ গত ২৪ ঘন্টায় ঝড়টি বাংলাদেশের দিকে প্রায়
১৫৯ কিঃমিঃ পথ অতিক্রম করেছে।

♼ দেশের বেশিরভাগ স্থানে ভ্যাপসা গরম থাকবে।
সাগরে উপস্থিত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের মধ্যে
সাময়িকভাবে বৃষ্টিপাত বন্ধ রয়েছে তবে আকস্মিক
বৃষ্টিপাত যে কোন স্থানে হতে পারে, বিশেষ করে
উত্তরাঞ্চলে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সামনের দিনগুলোতে
সমগ্র দেশেই ঝড়-বৃষ্টি থাকবে।

② বাংলাদেশের মধ্যে মেঘের সাধারণ গতিপথ
পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে।

③ আজ সকাল ৯:৫০ মিনিটের স্যাটেলাইট চিত্রে
সাদা স্থানে মেঘের স্তর দেখা যাচ্ছে।
চিত্রে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান দেখুন।

④ নিজ নিজ এলাকার চলতি আবহাওয়া
পরিস্থিতি সম্পর্কে কমেন্টে উল্লেখ করুন।
সেক্ষেত্রে কমেন্ট পড়ে  সামগ্রীক বাস্তব আবহাওয়া
পরিস্থিতি অনেকেই বুঝতে পারবেন এবং
অনেকের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।
--------------------------------
✦ ০৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, গ্রীস্মকাল।
✶ ২৪ রমজান, ১৪৪১ হিজরী।
--------------------------------
* ঢাকার সময় অনুযায়ী:—
* আগামীকাল সূর্যোদয়: ৫:১৪ মিনিটে।
* আগামীকাল সূর্যাস্ত: ৬:৩৫ মিনিটে।
* আগামীকাল দিনের দৈর্ঘ্য:—
(১৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড)
--------------------------------
ধন্যবাদ সকলকে,
Personal analysis, predicted by
scientist syed shamim
জেলা নড়াইল থেকে।
--------------------------------
@weather176, Bangladesh

Post a Comment

0 Comments